শতকরা ৯৫ ভাগ ব্যাবহারকারী এই জিনিসটাকে অবহেলা করেন। অনেকে তো জানেন ই না এটা কোথায় থাকে অথবা এটার কাজ কি, এটা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন। কি, জানেন নাকি?????????????????????? জানতে চাইলে নিচে দেখতে থাকুন। পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে আপনার সমস্ত ভুল ধারনা আজ পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
আশা করি মহান আল্লাহ এর রহমতে ভাল আছেন। আমার ওজন বেড়ে গেছে। আসলে কুরবানিতে ওজন না বাড়লে কুরবানিটা তো জমেই না। তবে ভাইবেন না, কাল থেকে জিমে যাচ্ছি। এইবার সালমান বডি বানিয়েই ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
আপনি বহুত মালপানি খরচ করে একটা দামি কম্পিউটার কিনলেন। কিন্তু পাওয়ার সাপ্লাই নিলেন সাধারন মানের। ” কেল্লা ফতে ” আমাকে একটা ১৫০ টাকার স্ট্যাম্প দেন। ১০০% টাকা ফেরত গ্যারান্টি দিয়ে বলবো ওয়াররেনটি শেষ হবার আগেই আপনার কম্পিউটার এর যে কোন একটা কিছু নষ্ট হবেই। আপনি তা যত ভালই বা যত দাম দিয়ে কিনেন না কেন। আর তখন আপনি বোকার মত বিবেচনা না করেই বলবেন ” শালার পুতে জিঞ্জিরার ২ নাম্বার মাল দিসে, আজকা তর একদিন কি আমার যে কয়দিন লাগে ” । তাহলে আশা করি পাওয়ার সাপ্লাই এর গুরুত্বটা বুঝতে পারছেন।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কম্পিউটার এ সকল যন্ত্রাংশের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ
নিশ্চিত করে। এ প্রবাহ তারের সাহায্যে মাদারবোর্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য সংযোগ দেয়া হয় যা মাদারবোর্ডের মাধ্যমে সকল জায়গায় প্রবাহিত হয়। আর হার্ডড্রাইভ, ডিভিভি রম এ আলাদাভাবে এই সংযোগ দেয়া হয়। আমরা সকলে বাজারের সাধারন মানের ১৬০০-২০০০ টাকা দামের কেসিং ব্যাবহার করি। এতে লেখা থাকে ৩৫০-৪০০ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই। কিন্তু সব বাটপারি। এরা মাত্র ২০০-২৫০ ওয়াট পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে। কারন টা জানতে ইচ্ছা করছে কি? কারন হচ্ছে ভালমানের একটি ৩৫০-৪০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই এর দাম ২৫০০-৩০০০ টাকা। তাহলে বুঝেন, ওইসব পাওয়ার সাপ্লাই এর গায়ে যা লেখা থাকে তা দেয়া থাকে না কেন। আমি ধরে নেই আপনি Core 2 Duo প্রসেসসর, মাঝারি মানের মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট র্যাম, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডড্রাইভ, ব্যাবহার করেন। তাহলে আপনাকে কমপক্ষে ৩৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যাবহার করতেই হবে। কিন্তু আপনি সেখানে ব্যাবহার করছেন মাত্র ২০০-২৫০ ওয়াট। ফলাফল হবে
★ যতটুকু পারফমেন্স পাবার কথা, তার মাত্র ৩ ভাগের ১ ভাগ পাবেন।
★★ কম বিদ্যুৎ পাবার কারনে একদিন শুক্রবার বাদ জুম্মা মাদারবোর্ড অথবা গ্রাফিক্স কার্ডের কুলখানির আয়োজন করতে হবে। { ১০০০% গ্যারান্টি }
★★★ কাজের সময় কম্পিউটার নষ্ট হয়ে আপনার মাথা ” ডিম ” ভাজার গরম চুলা হয়ে যাবে।
★★ কম বিদ্যুৎ পাবার কারনে একদিন শুক্রবার বাদ জুম্মা মাদারবোর্ড অথবা গ্রাফিক্স কার্ডের কুলখানির আয়োজন করতে হবে। { ১০০০% গ্যারান্টি }
★★★ কাজের সময় কম্পিউটার নষ্ট হয়ে আপনার মাথা ” ডিম ” ভাজার গরম চুলা হয়ে যাবে।
আমরা ওয়াররেনটি শেষের আগেই জিনিস নষ্ট হলে বিক্রেতাকে গালি দেই। কারন হচ্ছে তারা তখন টিনের চশমা পরে কথা বলে। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে বিক্রেতারা দেখলেই বুঝতে পারে যে এটা কম বিদ্যুতে চলার কারনে নষ্ট হয়েছে। কিন্তু আপনাকে যদি বলে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই কম শক্তিসম্পন্ন হবার কারনে সমস্যা হইসে, তাইলে আপনি তো তার ১৪ গুষ্টি উদ্ধার করবেন। কারন আপনি জানেন আপনারটা ৪০০ ওয়াট কিন্তু এটা কি আসলেই সত্যি? এখানে আমাদের দোষ হল পাওয়ার সাপ্লাই এর ব্যাপারে আমরা সচেতন না। আর বিক্রেতার দোষ হল তারা এই ব্যাপারে আমাদের কিছু বলে না বা সাবধান করে না। সুকৌশলে তারা ব্যাপারটি এড়িয়ে যায়।
এইবার আসি এই উদাসিনতার কারন সম্পর্কে। এর প্রধান কারন হচ্ছে আকাশছোঁয়া দাম। আমি আপনাকে একটা স্পষ্ট ধারনা দেই। নিচের ছবিগুলো দেখুন। এখানে যে দাম দেয়া আছে, বাজারে তার থেকে ২০০-৫০০ টাকা কম রাখবে।
ATX Power Supply:: Tk- 500-1200
GIGABYTE 300W Power Supply :: Tk-2000
GIGABYTE GE R460 V-1 :: Tk-3000
Thermaltake 430W LitePower :: Tk-3000
Thermaltake 500W TR-2 :: Tk-4700
XFX PRO 550W :: Tk-10000
আপনার জন্য কত ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই লাগবে তা আপনি এখান থেকে জানতে পারবেন। যেই ফলাফল আসবে, তার থেকে ৮০-১৫০ ওয়াট বেশি নিবেন।
যদি আমি এইখানেই শেষ করি, তাহলে আপনারা যারা কম বাজেটের পাবলিক তারা আমাকে জুতা মারতে পারেন। আসলে আমাদের ৬০% ই কম বাজেটের ব্যাবহারকারি। তবে চিন্তা করবেন না। আপনারা যারা সাধারন মানের Core 2 Duo/Core i3 প্রসেসসর, মাঝারি মানের মাদারবোর্ড, ২/৪ গিগাবাইট র্যাম, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডড্রাইভ, ব্যাবহার করেন তারা মোটামুটি ১৮০০-২৫০০ টাকার কেসিং কিনলেই চলবে। আর যদি হাল্কা পাতলা গ্রাফিক্স কার্ড (ATi Radeon HD 5450,5550,5670,6350,6550,6460 Or NVIDIA GeForce 9400,9500, GTX 200, 210, 220, 240 ) ব্যাবহার করেন, তাহলে আপনি ১৮০০ টাকার কেসিং কিনে পাওয়ার সাপ্লাই আলাদা করে ফেলবেন। তখন তারা শুধু কেসিং এর দাম রাখবে ১২০০-১৪০০ টাকা। আর আপনি ১০০০-১২০০ টাকা দিয়ে নন ব্র্যান্ড এর মোটামুটি মানের ৪০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই পাবেন। তাহলে টোটাল দাম হবে ২২০০-২৬০০ টাকা। তখন আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। তবে কোন ওয়াররেন্তি নাই। তারপর ও মোটামুটি ২ বছর ভালভাবেই চলে যাবে।
আসেন একটু দেখি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর সার্কিট ডায়াগ্রাম ।
আর যারা Core i5, AMD Athlon 2 X2/X4, PHENOM 2 X2 প্রসেসসর, মাঝারি/উচ্চ মানের মাদারবোর্ড, ২/৪ গিগাবাইট র্যাম, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডড্রাইভ ব্যাবহার করেন ও মাঝারি মানের গ্রাফিক্স কার্ড (ATi Radeon HD 5570, 5770, 6570, 6650, 6670, NVIDIA GTX 430, 450, 460, ) ব্যাবহার করেন তারা অবশ্যই পাওয়ার সাপ্লাই নিবেন। আপনি সেক্ষেত্রে Thermaltake 430W LitePowre (2800tk), Gigabyte 460W (2700tk) নিতে পারেন। আপনি এক্ষেত্রে ১ বছরের সেবা পাবেন। আর কেসিং মোটামুটি মানের নিয়ে পাওয়ার সাপ্লাই বিক্রেতাকে দিয়ে দিবেন। তবে লক্ষ্য রাখবেন কুলিং সিস্টেম যেন ভালমানের হয়। ১২% ব্যাবহারকারীর কম্পিউটার শক্তিশালী কুলিং সিস্টেমের কারনে নষ্ট হয়ে যায়। তবে এটা উঁচুমানের কনফিগারেশনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এটা নিয়ে পরের পর্বে আলোচনা করবো। আর যারা টাকাপয়সার সমস্যায় নাই, তারা আমাদের জন্য কিছু করেন। আশা করি কি করতে হবে বা পাওয়ার সাপ্লাই কত নিতে হবে তা বলতে হবে না।
আশা করি আপনি এখন এর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকলে নির্দ্বিধায় করেন। আমি অবশ্যই উত্তর দেবার চেষ্টা করবো। সবাই ভাল থাকবেন।
This site was... how do you say it? Relevant!!
ReplyDeleteFinally I've found something which helped me. Thank you!
Today, I went to the beach front with my children. I found a sea shell and gave it to my 4 year old
ReplyDeletedaughter and said "You can hear the ocean if you put this to your ear."
She put the shell to her ear and screamed. There was a
hermit crab inside and it pinched her ear. She never wants to go back!
LoL I know this is totally off topic but I had to tell someone!