স্বাগতম স্বপনীল ভুবনে: 2013

About

Wellcome To Visit My Website..Thank You..!

Sunday, 10 November 2013

পিসিতে ফ্রি নেট ব্যবহারের সবচেয়ে সহজ , নিরাপদ ও সুবিধাজনক পদ্ধতি ( Gmail , Ymail , Facebook সহ যেকোন সাইটে login )

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সবাই ভাল আছেন । পিসিতে বহু ভাবে ফ্রি নেট চালানো যায় । কিন্তু আমি আপনাদের সবচেয়ে সহজ , নিরাপদ ও সুবিধাজনক পদ্ধতি শেয়ার করলাম ।
১। এখান থেকে Tor browser  download করুন ।
২। যেকোন drive এ এটি extract করুন । Tor browser নামের একটি ফোল্ডার পাবেন ।
৩। ঐ ফোল্ডারে Start Tor Browser নামে একটি ফাইল পাবেন , ফাইলটি ওপেন করুন ।
৪। এবার Vidalia control panel open হবে । setting এ যান ।
৫। এবার network setting থেকে i use  a proxy ........  এ টিক  দিন । address দিন  10.128.1.2    , port দিন  8080 , proxy type দিন HTTP/HTTPS .  ok ক্লিক করে সেভ করুন ।
৬। gpmms setting দ্বারা মডেম কানেক্ট করুন। reconnect ব্যবহার করুন ।
৭। Vidalia control panel থেকে start tor এ ক্লিক করুন । প্রথম বার কানেক্ট হতে কিছু সময় লাগবে । আপনি massage option থেকে log দেখতে পারেন । ১০০ % লোড হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ।
৮। কানেক্ট হলে automatic browser open হবে । congratulation massage দেখাবে । এবার address বারে
স্বাভাবিক ভাবে যেকোন address  লিখে নেট ব্যবহার করুন ।
Gmail , Ymail , Facebook সহ যেকোন সাইটে login করতে পারবেন । Vidalia control panel কখনও error দেখাবে না বা data connection disconnect হলেও এটি disconnect হবে না ।

পিসিতে গ্রামীণ ফোন ফ্রি নেট , যেকোন ব্রাউজার , IDM সহ – ইচ্ছামত ব্রাউজ ও আনলিমিটেড ডাউনলোড ।

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সবাই ভাল আছেন । Proxifire এ ফ্রি নেট বন্ধ হওয়ার পর আমি ফ্রি নেট বিষয়ে কয়েকটি টিউন করেছিলাম , যেখানে Handler ব্যবহার করা হয়েছিল । সেটা এখনও কাজ করে কিন্তু মজা নেই । সর্বশেষ টিউন করার পর আমি কারও কোন কমেন্ট/ প্রস্নের জবাব দিইনি । কারন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আপনাদের জন্য ফ্রি নেটের ভাল কোন ব্যবস্থা করার পর আমি ফিরে আসব । আজ সেই দিন । আমাকে সবাই ক্ষমা করবেন । আজ আপনাদের যে পদ্ধতি দেব তা খুব সহজ । স্পীড খুব ভাল পাবেন । যেকোন ব্রাউজার এ  IDM  সহ - ইচ্ছামত ব্রাউজ ও ডাউনলোড করতে পারবেন । যারা Proxifire ব্যবহার করতেন তারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন । যাহোক -
১। এখান থেকে ISPCE PORTABLE.rar ফাইলটি ডাউনলোড করুন ।
২। এখান থেকে config ফাইল ডাউনলোড করুন । ফাইলটি Desktop বাদে অন্য কোন ড্রাইভে রাখুন ।
৩। এবার gpmms দ্বারা মডেম কানেক্ট করুন ।   Redial চালু করুন যেন ৩ মিনিট পর পর অটো কানেক্ট হয় ।
৪।  ISPCE ওপেন করুন । File থেকে Load config File এ ক্লিক করুন ।
৫। এবার পূর্বে ডাউনলোডকৃত config File টি

Wednesday, 16 October 2013

ধর্ম যার যার, উত্সব সবার, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সবার ঈদ হউক অনাবিল আনন্দের।

ধর্ম যার যার, উত্সব সবার, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সবার ঈদ হউক অনাবিল আনন্দের। ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে। সবাইকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক। ঈদ মোবারক ও শুভেচ্ছা আমার সকল User, মডারেটর,  ও পাঠকগণকে।


এমন উত্সবের দিন্ আমরা সবাই নিশ্চয় উত্সবে মাতোয়ারা হবো, কিন্তু তার আগে আমরা যেন কিছুতেই ভুলে না যাই পাশের বাড়ির অসহায় বৃদ্ধা বিধবার কথা, সহায় সম্ভবহীন পুত্রকন্যা পরিজনহীন ( অথবা আত্মীয় স্বজন দ্বারা অবেহলিত, উপেক্ষিত) বৃদ্ধের কথা, ইয়াতিম গরীব শিশু কিশোর/কিশোরীর কথা, পঙ্গু অসহায় প্রতিবন্ধীর কথা, গরীব আত্মীয় স্বজনের কথা। 

আমরা যেন অন্তত এইটুকু ভাবি যে, আমার যেমন আনন্দ উল্লাস করতে ভালো লাগে, ঠিক একই অনুভূতি সবার মাঝেই বিরাজ করে। কিন্তু সামর্থের জন্যে অনেকে সেটা উপভোগ করতে পারে না। আমার ছেলেমেয়ের যেমন নতুন জামাকাপড় পরতে ভালো লাগে, প্রতিবেশি অন্ধ লোকটির ছেলেমেয়েরও পরতে ইচ্ছে করে। আমরা যারা মা বাবা থেকে দূরে আছি, তারা যেন কিছুতেই মা বাবা-র কথা ভুলে না যাই। আমার সন্তান দৌড়ে এসে যখন আমাকে বাবা/মা বলে ডাকে তখন গর্বে আমার বুকটা যেভাবে ভরে যায়, ঠিক একই কথা আমার বাবা/মা-র ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তারাও আমাদের জন্যে আশায় বুক বেধে রাখেন, সন্তানের সাথে বসে দুই বেলা খাবার খাওয়ার অধিকার তাদেরও আছে। 

সর্বোপরি, দুঃখ কষ্ট গ্লানি এসব চেপে রাখাই শ্রেয় কিন্তু আনন্দ, আনন্দ বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেও আরো উচ্চতর ভিন্নতর আনন্দ আছে। আপন পর সবার মাঝে আনন্দ ভাগ করলে আনন্দ আরো বহুগুনে বেড়ে যায়। আমাদের সবার আনন্দ হউক সীমাহীন ও সর্বজনিন। যে কোনো ঠুন্ক বাধন ছিড়ে বেরিয়ে এসে আমরা যেন মানুষত্বকেই আপনা করতে পারি সবচেয়ে বেশি। আবারো ঈদ মোবারক। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সমস্ত বাংলাদেশে, সকলের মনে ও প্রাণে।



=====================================00======================================

Sunday, 22 September 2013

ধর্ষণ করে একজনে বা কয়েকজনে, আর ধর্ষণ উপভোগ করে সমগ্র জাতি।

ধর্ষণ করে একজনে বা কয়েকজনে, আর ধর্ষণ উপভোগ করে সমগ্র জাতি। শুধু পুরুষরা নয়- জাতির মেয়েরা, মহিলারা এবং সাদা চুলের থুত্থুরে বুড়িরা। ধর্ষক বুক ফুলিয়ে, কলার উঁচু করে বীরের বেশে এলাকায় ঘুরে বেড়ায় আর ধর্ষিতার স্থান হয় নির্জন ঘরের কোনে- যদি সে বেচে থাকে!
শারীরিক ধর্ষণের পরে শুরু হয় মানসিক ধর্ষণ। পত্রিকার পাতায়, কলামে কলামে, থানায় পুলিশের ডাইরিতে, আদালতে অসভ্য উকিলের আপত্তিকর জেরায়। দিনের পর দিন সে ধর্ষিত হতে থাকে পাড়ার বুড়োদের চায়ের আড্ডায়, বুড়ি এবং ছুড়িদের মুখে মুখে কিংবা কে এফ সিতে- পিঁজা হাটে বান্ধবীর জন্মদিনে অথবা পাড়াতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে। ধর্ষক রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়। রসিয়ে রসিয়ে ধর্ষণের বর্ণনা করে, মেয়েটা কেমন স্বাদের ছিল- কেমন করে বাধা দিয়েছিল এবং সে কেমন ধরনের আসল পুরুষ(!) সবিস্তারে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সেই গল্প করে। একটা অসহায় মেয়ের শরীর তখন সমাজের সবার ভোগে লেগে যায়। মোবাইল থেকে মোবাইলে ভিডিও ঘুরতে থাকে। পত্রিকার সম্পাদক রসিয়ে রসিয়ে ধর্ষণের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেন। সেখানে ধর্ষিতার বয়স উল্লেখ থাকে, স্কুল কলেজের পরিচয় উল্লেখ থাকে, থাকে না শুধু ধর্ষকের একটা স্পষ্ট ফটো কিংবা ভাল করে পরিচয়। এক ফাকে টুপ করে ঢুকিয়ে দেয়া হয় কোন ওয়েবসাইটে সেই ভিডিওর খোজ পাওয়া যাবে সেই খবর।
সেই গল্প শুনে, ভিডিও দেখে সারাদেশের আরো অনেক পটেনশিয়াল ধর্ষকের পুরুষত্ব জেগে ওঠে। না আর থাকা যায় না, এইবার একটা ডাঁসা মাল চাই! তাদের ঠোটের দুই কোন দিয়ে এবং অন্য অনেক জায়গা নিয়ে কুৎসিত লালা ঝরে। অশ্লীল চোখগুলো ক্রমাগত ঘুরে ফিরে যায় রাস্তা দিয়ে চলন্ত স্কুলগামী ছাত্রীর দিকে, পুকুরে গোসল-রত কিশোরীর দিকে কিংবা বাসে হ্যান্ডেল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মাঝবয়েসী মহিলার দিকে। শুধু একটা সুযোগ দরকার তার!
আর সেই মেয়েটি?
তাকে আস্তে করে ঝুলে পড়তে হয় গলার সাথে দড়ি বেধে। এ সমাজ তাকে জোর করে সেদিকে ঠেলে দেয়। বেচে থাকতে বাবা তাকে বকে, মা তাকে অবজ্ঞা করে, ভাই-বোন করে ঘৃণা। পাড়া প্রতিবেশী দিনের পর দিন তার চরিত্রের কলুষতা এবং পঙ্কিলতা নিয়ে খোটা দেয়। সবাই মিলে ধর্ষিত মেয়েটার জীবনটাকে একটা বিভীষিকা বানিয়ে দেয়। স্কুলের স্যার তাকে অশ্লীল ইংগিত করে, বান্ধবীরা সংগ পরিত্যাগ করে। সবার চোখে, মুখে, আচার- আচরণে, কথায় এবং কাজে একটাই ইংগিত থাকে- ” তুই ধর্ষিতা, তুই পতিতা, তুই চরিত্রহীনা- তুই মর। ”
ধর্ষক এরকম আরো অনেক অনেক প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ধর্ষণ শেষে সানাই বাজিয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসে। মেয়ের বাবা আনন্দের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। শুধু ধর্ষিতা মেয়েটিকে বিয়ে দেবার জন্যে কোন ছেলে পাওয়া যায় না।
দিনের পর দিন এই বিষ কিশোর মস্তিষ্কে ঢুকেছে। আমার ওটা আছে বলে ধর্ষণ করা একটা কনজেনিটাল রাইট আমি নিয়ে এসেছি এই ভেবে পুলকিত হয়েছি।
একটা মেয়ের জন্যে কেউ নিরাপদ না। শিক্ষক, সহপাঠী, বন্ধু, বয়-ফ্রেন্ড, এলাকার ছেলে, আত্মীয়- পুরুষ, চাচা-মামা-খালু, দুলাভাই এমনকি ক্ষেত্র বিশেষ নিজের বাপ-ভাই ও না। কর্মক্ষেত্রে কলিগ, অফিসের বস- সুযোগ পেলেই মিষ্টি হাসি ঝেড়ে ধর্ষকের রূপ ধরতে মুহূর্ত দেরি করেন না। বাসের হেল্পার, ক্যান্টিনবয়, হাসপাতালের ঝাড়ুদার, বাসার দারোয়ান কিংবা অফিসের পিয়ন- ওটার ব্যবহারে কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে থাকতে রাজী নয়।
ধর্ষিতার পক্ষে কেউ থাকে না। ধর্ষকের পক্ষে সবাই।
প্রশাসন, মিডিয়া, সমাজ কিংবা রাষ্ট্র একযোগে কাজ করে ধর্ষককে বাঁচানোর জন্যে। তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয় না। থানার ওসির সাথে প্রতিদিন তার মোলাকাত হলেও গ্রেফতারের জন্যে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বাই এনি চান্স গ্রেফতার হলেও বড়- ছোট এবং মাঝারি পাল্লার সুপারিশের ধমকে কয়েক ঘন্টার বেশি তাকে হাজতে থাকতে হয় না। হাজত থেকে বেরিয়ে এসে ধর্ষিতার পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দেয়া চলতে থাকে যাতে মামলা তুলে নেয়া হয়। এমনকি ধর্ষণের মামলা থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে ফিরে এসে সেই মেয়েকে তার ছোটবোনসহ পুনরায় ধর্ষণের ঘটনাও এই দেশে ঘটেছে।
নিউমার্কেটে দিনে দুপুর বেলায় ঢাকার এক বিখ্যাত কলেজের পরিচয়ধারী এক ছেলে একটা মেয়েকে চড় মারে। কারন হলো মেয়েটা ছেলেটাকে স্টুপিড বলেছে। কেন স্টুপিড বলেছে তার কারন হলো ছেলেটা ভিড়ের সুযোগে মেয়েটাকে ধাক্কা মেরেছে এবং শরীরে হাত দিয়েছে। কিন্তু উপস্থিত জনতা ছেলেটাকেই সাপোর্ট করে এবং একটা বখাটের হাতে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হয়ে, থাপ্পড় খেয়েও মেয়েটা স্যরি বলতে বাধ্য হয়। আমার যে ফ্রেন্ডটা ওখানে ছিল তার ভাষায় ছেলেটা অমুক কলেজের। কে তার সাথে লাগতে যাবে?
হাজার খানেক মানুষ এক বখাটের ভয়ে থরহরি কম্পমান। এই না হলে বীর বাঙ্গালী- অস্ত্র ধরেই যারা দেশ স্বাধীন করে ফেলেছে। তারপর সেই অস্ত্র অতল দরিয়ায় নিক্ষেপ করেছে। শত অন্যায়েও এখন তার গলায় স্বর বের হয় না।
ঘেটুপুত্র কমলা ম্যুভিটিতে হুমায়ুন আহমেদ একটা চমৎকার উপমায় আমাদের মানসিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন। জমিদারের টাকা আছে সে ঘেটুপুত্র রাখে। কিন্তু তার ঘোড়ার দেখাশোনার জন্যে যে লোক তার টাকা নেই বলে সে ঘেঁটু রাখতে পারে না। কিন্তু ঘেটুছেলের দিকে সেও লোভী নজর দেয়। মনে মনে স্বগতোক্তি করে টাকা হলে সেও ঘেঁটু রাখবে।
আমরা একটা ধর্ষক জাতি। একটা অসভ্য এবং বর্বর জাতি। এই দেশে ভার্সিটিতে ছাত্রনেতারা প্রকাশ্যে ক্লাসমেট, জুনিয়র কিংবা সিনিয়র মেয়েদের ধর্ষণ করে। কেক কেটে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করে। এক অপ্রকাশিত নেতার কাহিনী শুনেছিলাম। মেয়েরা তার কাছে ধর্ষিত হতে আসতো। কারন সে যাকে টার্গেট করতো তাকে ধর্ষিত হতেই হতো অথবা ভার্সিটির পড়াই বাদ দিয়ে দিতে হতো। তারচেয়ে চুপে চুপে একবার তার কাছে এসে ধর্ষিত হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ ছিল, অন্তত লোক-জানাজানি হতো না তাতে। মেয়েরা কার কাছে বিচার চাইবে? শিক্ষকের কাছে? তারাই তো রুমে ডেকে নিয়ে ছাত্রী ধর্ষণে লিপ্ত। মন্ত্রীদের কাছে? এই দেশের কলেজের মেয়েদের তো তাদের কাছে উপঢৌকন হিসেবেই পাঠানো হয়। শরীরের বিনিময়ে মিলে পার্টিতে পদ কিংবা হলে সিট।
পুরুষতান্ত্রিকে এই সমাজে অধিকাংশ পুরুষের ভেতরে একটা করে ধর্ষক লুকিয়ে আছে। সময় এবং সুযোগে কারোটা বেরিয়ে আসে। অনেকের সে সুযোগ মেলে না। তার ধর্ষণ হয় পরোক্ষ। সে যে কাউকে ধর্ষণ করে নি, সে জন্যে শুধু পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগের অভাবই দায়ী। তার কোন ভাল মানুষী না
উন্নত দেশেও ধর্ষণ হয়, অপরাধ হয়। তবে সে দেশে অপরাধের অন্তত বিচার হয়। আমাদের দেশেও অপরাধ হয়- অপরাধী রাজার হালে বুক ফুলিয়ে ঘোরে। কোন বিচার হয় না। উলটো ক্ষেত্র-বিশেষে পুরস্কার জোটে। এটাই তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।
এই লেখাটা লিখতে আমার দুইদিন সময় লাগছে। প্রচুর ভাবতে হয়েছে। কষ্ট করে টাইপ করতে হয়েছে। সময়টার বৃথা ব্যবহার, পৌরুষের নিদারুণ অপচয়। এরচেয়ে একটা ধর্ষণ করে ফেলা এই দেশে অনেক সহজ। ইচ্ছে হলো, টার্গেট করলাম, করে ফেললাম। সাথে বোনাস হিসেবে খ্যাতিটাও জুটত।
একটা এড ছিল-” টাকা রি-চার্জ যখন এতো সহজ- কথা বলবে না কেন?”
একটু মডিফাই করে বলতে পারি- “ধর্ষণ যখন এত সহজ, করবে না কেন?”

বহুত পুরাতন জিনিস। তাও বলি-
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে।
উৎসর্গঃ সেই আপুটাকে, যেই আপুটি, আমার  Daudkandi থানায় কাজের বুয়া হয়েও রক্ষা পায় নি…যার বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর…




====================================00========================================

Thursday, 18 July 2013

জেনে নিন আরো কিছু তথ্য

এছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস :ক। আপনার কম্পিউটার এর স্পিড বাড়াতে আপনার রেম খালি করে রাখার চেষ্টা করবেনখ। হার্ড ডিস্ক এ অপরিচিত কোনো সফটয়ার  রাখবেন নাগ। এন্টিভাইরাস আপডেট রাখুন ৩ দিন পর পরঘ। হার্ড ডিস্ক এর সকল ড্রাইভ স্ক্যান  করে ভাইরাস ক্লিন করুন প্রতি সপ্তাহে  অন্তত ১দিনঙ। পেন ড্রাইভ স্ক্যান না করে ওপেন করবেন না  এবং  ডাবল ক্লিক দেয়া থেকে বিরত  থাকবেনচ। প্রতিদিন কাজ শেষে অতিরিক্ত সকল ফাইল মুছে ফেলুনছ। ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে রাখুন আপনার মেমরির দিগুনস্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে ১টি ১টি করে লিখুন আর এন্টার দিনPrefetch, Temp, %Temp%, Recent, Cookiesতারপর সব ফাইল ডিলিট  করুন  

  1. gpedit.msc>
  2. msconfig>কম্পিউটার স্টার্টাপ অপশন এডিট করতে
  3. dxdiag> কম্পিউটার এর কনফিগারেশন দেখতে
  4. regedit>কম্পিউটার এর রেজিস্ট্রি এডিটর দেখতে
  5. mmc>কম্পিউটার মেনেজমেন্ট কনসোল  দেখতে


এডমিনিসট্রেটর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সমাধান !!!

আসসালামু  আলাইকুম । সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন ।  ভালো থাকাটাই  সবসময়ের প্রত্যাশা  । আমি আইমান । জব এর পাশাপাশি ডেফোডিল এ সিএসই পড়ছি, জব এবং স্টাডি ২টা একসাথে করি বলে নিয়মিত টিউন করার সুযোগ পাইনা । তবু ছুটির দিন কিংবা অবসরে সময় করে চেষ্টা করি টিউন করতে । ইতিপূর্বে আমি কম্পিউটার এর ট্রাবলসুটিং বিষয়ে ৪ পর্বের ধারাবাহিক নিয়ে আলোচনা করেছি ।  "কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে?  এখনি ফাস্ট করে  নিন কয়েকটি উপায়ে" শিরোনামে পর্যায়ক্রমে টিউনটি চলমান থাকবে । এডভান্স এসইও সম্পর্কে আমার প্রচন্ড আগ্রহ, বিজ্ঞ ভাইয়াদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সহযোগিতা আশা করছি  মূল কথায় আসি, আপনার কম্পিউটারের এডমিনিসট্রেটর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করবেন, এখনকি আবার কম্পিউটার এ নতুন করে উইন্ডোজ দিবেন? তাহলে হারাতে হবে জরুরী ডাটা, হয়তোবা আপনার ডেস্কটপেই  রয়ে গেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল । থাকতে পারে সি ড্রাইভ এ মূল্যবান ফাইল, সি ড্রাইভ ফরমেট দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ দিলে আপনার কম্পিউটার ঠিক হবে ঠিকই কিন্তু হারাতে হবে অনেক জরুরী  ডাটা । এখন উচিত এমনভাবে কম্পিউটারটি  তৈরী করা, যেন পাসওয়ার্ড উদ্ধার হয়, জরুরী ফাইল এবং গুরুত্বপূর্ণ ডাটাও রক্ষা করা সম্ভব হয় । কিংবা পাসওয়ার্ড উদ্ধার করতে না পারলেও পাসওয়ার্ড রিমুভ করার পথ খুঁজে বের করা।  চলুন কাজটা শুরু করি । কম্পিউটার অন করে DEL অথবা F2 প্রেস করে বায়োস এ ঢুকুন।  বায়োস সেটিং এ গিয়ে ফার্স্ট বুট ডিভাইস সিডি/ডিভিডি  রম সিলেক্ট করুন। আপনার কম্পিউটার এ অপারেটিং সিস্টেম যেটা দেয়া আছে, সেটার সিডি আপনার সিডি / ডিভিডি রম এ ঢুকান ।  সিডি/ডিভিডি  থেকে বুট হওয়ার  পর অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ এর কাজ শুরু হবে । আপনাকে নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ না দিয়ে R প্রেস করার মাধ্যমে রিপেয়ার দিতে হবে । এজন্য উইন্ডোজ সেটাপ দেয়ার দ্বিতীয় পর্যায়ে আপনাকে রিপেয়ার অপশনটি সিলেক্ট  করে নিতে হবে । অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ এর ধাপ গুলো স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করুন । ধাপ গুলো দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন To Repair Your Computer Press R আসলেই তখন R চাপতে হবে । মনে রাখবেন আপনার কম্পিউটারের সি ড্রাইভ ফরমেট দিতে যাবেননা তাহলে পুরো উদ্দেশ্যটাই বৃথা হয়ে যাবে, পাসওয়ার্ড উদ্ধার কিংবা রিমুভ করার চেষ্টা বিফলে যাবে। অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ এর সিস্টেম অনেকেই জানেন, তাই সকল ধাপগুলো এখানে বিস্তারিত দেখানো হয়নি । শুধু অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ শুরু করার প্রথমেই ২য় ধাপ এ R প্রেস করে রিপেয়ার সেটাপ রান করাতে হবে। মনে রাখতে হবে অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ শুরু করার ২য় ধাপ, ১ম ধাপেও রিপেয়ার এর অপশন থাকে, তবে সেটি রিকভারি কনসোল, এটিতে এন্টার দিয়ে পরবর্তী ধাপ এ গেলেই রিপেয়ার এর আরেকটি অপশন পাবেন । খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই ১ম ধাপ পার হয়ে ২য় ধাপ এর রিপেয়ার অপশন এর মাধ্যমে রিপেয়ার সেটাপ রান করাতে হবে। R প্রেস  করে রিপেয়ার সেটাপ রান করলে ধাপে ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন হতে থাকবে । এবার ফাইল কপি হওয়ার সময়  অর্থাত রিপেয়ার সেটাপ রান হওয়ার ঠিক ১০ মিনিট পর আপনার কিবোর্ড থেকে Shift+F10 প্রেস করুন। কমান্ড প্রম্পট ডায়লগ বক্স আসবে।  
 এখানে একটি কমান্ড লিখতে হবে ।  C : \> nusrmgr.cpl এই কমান্ডটি লিখে এন্টার দিন । 
  আপনার কম্পিউটার এর কন্ট্রোল পানেল এর  ইউজার একাউন্ট ডায়লগ বক্স ওপেন হয়ে যাবে । 

USB ক্যাবলের মাধ্যমে নোকিয়া ফোনের ভুলে যাওয়া Security Code দেখে নিন।

আস্-সালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজ আমি এই গুরত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। আশা করছি সবাই উপকৃত হবেন।
আমরা অনেকেই নোকিয়া ফোন ব্যবহার করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তার কারনে সিকিউরিটি কোডের প্রয়োজন হয়। নোকিয়া তে ডিফল্ডভাবে ১২৩৪৫ সিকিউরিটি কোড দেয়া থাকে। যা আমরা অনেকেই জানি। সুতরাং প্রয়োজন হয় সিকিউরিটি কোডটি পরিবর্তন করার।
আমরা যারা এই অপশনস্ টা ব্যাবহার করে থাকি, তারা প্রত্যেকেই সিকিউরিটি কোডটি পরিবর্তন করি। কিন্তু বেশ কিছু দিন পর আমরা সেই সিকিউরিটি কোডটি সহজেই ভুলে যাই। তারপর থেকে শুরু হয় সমস্যার। কোডটি রিসেট করতে অথবা ফ্লাস দিতে যেতে হয় বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিসিং পয়েন্টে। গুনতে হয় ৫০-৩০০ টাকা বা তারও বেশী।
অথচ, কোন টাকা ছাড়াই আপনার পার্সোনাল কম্পিউটারে একটি সফট্ওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি সহজেই এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারেন। প্রয়োজন শুধু মাত্র একটি সচল নোকিয়া ক্যাবল।
আসুন দেখে নেই কিভাবে আপনি উক্ত কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করবেন:-
প্রথমে আপনি নিচের লিংক থেকে [ANT]-Simple সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড [ANT]-Simple
আপনার কম্পিউটারে যদি Pc Suite ইনস্টল থাকে, তাহলে Pc Suite এর প্রোগ্রামটি কে Exit করে দিন, এমনকি Taskbar থেকেও।
[ANT]-Simple সফটওয়্যারটি ডাউনলোড শেষ হলে এটাকে Extract করে নিন।
এবং Simple.exe ফাইলটি run করান।
এবার Usb ক্যাবল দিয়ে আপনার মোবাইল কে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করুন। মোবাইলে কানেকশন টাইপ কিন্তু Pc Suite মোডে রাখতে ভুলবেন না যেন।
যাইহোক, উক্ত প্রোগ্রামের Main ট্যাব থেকে নিচের Check এ ক্লিক করুন। তারপর আপনার IMEI number and model সম্পর্কে তথ্য সেখানে দেখতে পাবেন।
যদি না দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফোনটি সঠিকভাবে পিসিতে কানেক্ট পায়নি। অন্য কোন Usb Port এ লাগিয়ে কানেক্ট করুন।
তারপর নিচের চিত্র অনুযায়ী Normal সিলেক্ট করে Get এ ক্লিক করুন।
এবার Service ট্যাবে ক্লিক করুন। এবং সেখান থেকে User code এর Get এ ক্লিক করুন ঠিক নিচের চিত্রটির মত করে।
তারপর আপনি অপর অংশে আপনার ভূলে যাওয়া সিকিউরিটি কোডটি দেখতে পাবেন।
আশা করছি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি।
পরবর্তী কোন এক পোষ্টে Usb এর সাহায্যে কিভাবে আপনার ফোনকে ফ্লাস করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
কোন সমস্যা হলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না যেন। এছাড়াও আপনি নিচের ফেসবুকের নতুন পেজটিতে Like দিয়ে এমন অনেক গুরত্বপূর্ণ তথ্য আপনার ফেসবুকে পেতে পারেন। পেজটিকে শেয়ার করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রইল।

Tuesday, 16 July 2013

পিসি থেকেই Google Play store থেকে ডাউনলোড দিন

আমি আজকে যে সফটওয়্যার নিয়ে এসেছি তাতে আশা করি এন্ড্রয়েড ফোন ব্যাবহারকারীরা উপকৃত হবেন ।
এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনার পিসিতে Google Play store  থেকে  সফটওয়্যার, গেমস, ভিডিও নামাতে পারবেন ।এবং তা আপনার ফোনে ট্রান্সফার করতে পারবেন ।এতে আপনার আর ফোনে নেট খরচ হবে না :)
আরও অনেক কিছু করতে পারবেন এই সফটওয়্যার দিয়ে ।তা ডাউনলোড করলে বুঝতে পারবেন । সফটওয়্যার টির নাম Mobogenie।
1 (2)
আশা করি ভালো লাগবে।

আমার পেনড্রাইভ এ তো ইচ্ছা করেও ভাইরাস ঢুকাতে পারি না , আপনার টাও আমার মত করতে চান ?

পেনড্রাইভ বা মেমোরিকার্ড দিয়ে আমরা সাধারণত আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডাটা আদান-প্রদান করে থাকি। আর এটি করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি! কখন যে আমাদের সাধের পেনড্রাইভে ভাইরাস ঢুকে যায়, আমরা বুঝতেই পারি না।
এই ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য আমরা সাধারণত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকি। এর পাশাপাশি অটোরান ভাইরাস দূর করার জন্য USB Disk Security, Autorun Remover ইত্যাদি বিভিন্ন বাহারি সফটওয়্যারও অনেকেই ব্যবহার করে থাকে। অনেকক্ষেত্রেই এত সফটওয়্যার ব্যবহার করা সময়সাধ্য এবং বিরক্তিকর ব্যপার!!
যদি মাত্র ১ টি ক্লিক করেই আজীবণের জন্য এতসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যেত, তাহলে কেমন হত???? শুনতেই খুব ভাল লাগছে তাইনা?? তাহলে ভাবুন বাস্তবে এমনটি হলে কতই না সুবিধা হত!!
পান্ডা এন্টিভাইরাসের নাম হয়ত অনেকেই শুনে থাকবেন। তারা একটি সফটওয়্যার বানিয়েছে এবং সেটির নাম দিয়েছে- Panda USB Vaccine. এটি সেটাপ করার পর একটি ক্লিক করলেই পেনড্রাইভ অথবা মেমোরিকার্ড Vaccinate হয়ে যাবে অর্থাৎ আপনার ফ্লাশড্রাইভে টিকা দেয়া হয়ে যাবে!! যাতে করে অটোরান ভাইরাসকে আপনি আর জোড় করেও ঢুকাতে পারবেন না।!!
আসলে এটি আপনার ফ্লাশড্রাইভে একটি Autorun.inf ফাইল তৈরী করবে। যা কোন অটোরান ভাইরাস ডিলেট করে আপনার পেনড্রাইভে ঢুকতে পারবে না। এমনকি রিপ্লেস বা রিনেম করাও সম্ভব নয়!! ফাইলটি আপনার ফ্লাশড্রাইভে হিডেন অবস্থায় থাকবে এবং আপনার পেনড্রাইভের "অটোরানের টিকা" হিসাবে কাজ করবে!! এছাড়া এটি দিয়ে মাত্র ১ ক্লিক করে  আপনার কম্পিউটারের সকল
 ফ্লাশডাইভের অটোরান করা বন্ধ করতে পারবেন!! যার ফলে কোন ফ্লাশড্রাইভ ঢুকানোর সাথে সাথে আর ভাইরাস আপনার পিসিতে ঢুকতে পারবে না!!
এটি একটি ফ্রি সফটওয়্যার, তাই সিরিয়ালের ঝামেলা নাই। টিকা দেয়ার পর সফটওয়্যারটি রিমুভ করে দিতে পারেন।
সবচাইতে বড় কথা এত কাজের একটি সফটওয়্যার এর সাইজ মাত্র ৮০০ কিলোবাইট!!
তাহলে আর দেরি না করে নিচের মত করে ব্যবহার করা শুরু করে দিনঃ-
১. প্রথমেই এখান থেকে Panda USB Vaccine ডাউনলোড করে এক্সট্রাক্ট করে নিন। (৮০০ কিলোবাইট)
২. এবার সাধারণ নিয়মে সবকিছু ডিফল্টে রেখে সেটাপ করুন।
৩. আপনার পেনড্রাইভ/ মেমোরিকার্ড ইউএসবি পোর্টে প্রবেশ করান এবং  সফটওয়্যারটি চালু করুন ।
৪.  সেখানে Select an USB Drive এ আপনার ফ্লাশড্রাইভটি দেখতে পাবেন। তার পাশেই দেখুন- Vaccinate USB নামে একটি বাটন আছে, সেটিতে ক্লিক করুন।
৫. ব্যাস কাজ শেয!! আপনার পেনড্রাইভকে টিকা দেয়া হয়ে গেছে। এবার নিচের ছবির মত দেখুন আপনার ফ্লাশড্রাইভের পাশে ব্রাকেটে Vaccinated লেখা আছে। যার মানে কাজ শেয!!
৬. এবার আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের সকল ড্রাইভের অটরান ডিসেবল করে দিতে চান, তাহলে নিচের ছবির মত Vaccinate Computer বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই কাজ হয়ে যাবে।
৭. কম্পিউটার Vaccinated হয়ে গেলে  ইচ্ছা করলে সফটওয়্যারটি রিমুভ করে দিতে পারেন।
এবার টেস্ট করার জন্য নিজে নিজে একটি অটোরান ফাইল বানিয়ে আপনার পেনড্রাইভে সেন্ড করে দেখুনতো সেটি পেনড্রাইভে ঢুকাতে পারেন কিন?? ঢুকাতে পারলে জানাবেন কিন্তু!! হি হি !!!!
যারা অটোরান বানাতে পারেন না, তারা এখান থেকে আমার বানানোটা ডাউনলোড করে নিন (মাত্র ১KB)।
সব ফাইলের লিংক এখানে দেওয়া হল ।
Vaccinate USB :   

Wednesday, 10 July 2013

কম্পিউটার সমাচার, ( Power Supply Unit )

শতকরা ৯৫ ভাগ ব্যাবহারকারী এই জিনিসটাকে অবহেলা করেন। অনেকে তো জানেন ই না এটা কোথায় থাকে অথবা এটার কাজ কি, এটা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন। কি, জানেন নাকি?????????????????????? জানতে চাইলে নিচে দেখতে থাকুন। পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে আপনার সমস্ত ভুল ধারনা আজ পরিবর্তিত হয়ে যাবে।


আশা করি মহান আল্লাহ এর রহমতে ভাল আছেন। আমার ওজন বেড়ে গেছে। আসলে কুরবানিতে ওজন না বাড়লে কুরবানিটা তো জমেই না। তবে ভাইবেন না, কাল থেকে জিমে যাচ্ছি। এইবার সালমান বডি বানিয়েই ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
আপনি বহুত মালপানি খরচ করে একটা দামি কম্পিউটার কিনলেন। কিন্তু পাওয়ার সাপ্লাই নিলেন সাধারন মানের। ” কেল্লা ফতে ” আমাকে একটা ১৫০ টাকার স্ট্যাম্প দেন। ১০০% টাকা ফেরত গ্যারান্টি দিয়ে বলবো ওয়াররেনটি শেষ হবার আগেই আপনার কম্পিউটার এর যে কোন একটা কিছু নষ্ট হবেই। আপনি তা যত ভালই বা যত দাম দিয়ে কিনেন না কেন। আর তখন আপনি বোকার মত বিবেচনা না করেই বলবেন ” শালার পুতে জিঞ্জিরার ২ নাম্বার মাল দিসে, আজকা তর একদিন কি আমার যে কয়দিন লাগে ” । তাহলে আশা করি পাওয়ার সাপ্লাই এর গুরুত্বটা বুঝতে পারছেন।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কম্পিউটার এ সকল যন্ত্রাংশের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ
নিশ্চিত করে। এ প্রবাহ তারের সাহায্যে মাদারবোর্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য সংযোগ দেয়া হয় যা মাদারবোর্ডের মাধ্যমে সকল জায়গায় প্রবাহিত হয়। আর হার্ডড্রাইভ, ডিভিভি রম এ আলাদাভাবে এই সংযোগ দেয়া হয়। আমরা সকলে বাজারের সাধারন মানের ১৬০০-২০০০ টাকা দামের কেসিং ব্যাবহার করি। এতে লেখা থাকে ৩৫০-৪০০ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই। কিন্তু সব বাটপারি। এরা মাত্র ২০০-২৫০ ওয়াট পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে। কারন টা জানতে ইচ্ছা করছে কি? কারন হচ্ছে ভালমানের একটি ৩৫০-৪০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই এর দাম ২৫০০-৩০০০ টাকা। তাহলে বুঝেন, ওইসব পাওয়ার সাপ্লাই এর গায়ে যা লেখা থাকে তা দেয়া থাকে না কেন। আমি ধরে নেই আপনি Core 2 Duo প্রসেসসর, মাঝারি মানের মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট র‍্যাম, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডড্রাইভ, ব্যাবহার করেন। তাহলে আপনাকে কমপক্ষে ৩৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যাবহার করতেই হবে। কিন্তু আপনি

আপনার কম্পিউটার লক এবং আনলক করুন পেনড্রাইভ দিয়ে

সবাই সাধারনত কম্পিউটার লক করে পাসওয়ার্ড দিয়ে। তবে তা যদি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপার পিসি সহজেই খুলে ফেলতে পারবে। তাউ একটা পরিপূরক ব্যাবস্থা রাখা উচিত। আর সেটা হতে পারে আপনার পেন ড্রাইভ।
আপনি পেন ড্রাইভ দিয়ে আপনার কম্পিউটার লক এবং আনলক করতে পারবেন। অনেকটা গোয়েন্দা স্টাইলে। যখন কম্পিউটার চালু করবেন, তখন পেন ড্রাইভ ঢুকালে কম্পিউটার অন হবে, নতুবা হবেনা। কেউ যদি আপনার পেন ড্রাইভ ছারা আপনার কম্পিউটার অন করে তাহলে Access Denied দেখাবে।
তাহলে আসুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে এটা করা যাবে।
প্রথম ধাপ : আপনাকে প্রথমে  pradetor নামের নিচের সফটওয়ারটি ডাউনলোড করতে হবে
২য় ধাপ : Predator  সফটওয়ার টা চালু করুন। চালু করার পর আপনার পেনড্রাইভ টি ইউএসবি পোর্টে ঢোকান। আপনার পেনড্রাইভের ডাটার কোনো ক্ষতি হবেনা। তাই নিশ্চিন্তে আপনার ব্যাবহৃত পেনড্রাইভ দিতে পারেন।
আপনি যখন পেন ড্রাইভ ঢোকাবেন তখন একটা দায়ালগ বক্স আসবে। এখানে আপনাকে পাসোয়ার্ড সেট করতে বলবে। OK ক্লিক করুন
৩য় ধাপ : এখন preference এ কিছু সেটিংস সেট করে নিন। প্রথমে new password এ একটা নতুন পাসওয়ার্ড দিন। কারন যদি আপনি আপনার পেন ড্রাইভ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে এই পাসওয়ার্ড এর সাহাজ্যে আপনি আপনার পিসি খুলতে পারবেন।
এবার সর্বশেষে Flash Drive অপশনে আপনার ঢোকানে ড্রাইভ টির লেটার সিলেক্ট করে দিন। দিয়ে Create Key এ ক্লিক করুন।
predatorprefs 610x547 আপনার কম্পিউটার লক এবং আনলক করুন পেনড্রাইভ দিয়ে
৪র্থ ধাপ : উপরে create key এ ক্লিক করার পর Predator বন্ধ হয়ে যাবে। পুনরায় চালু করুন ডেস্কটপে টাস্কবারে predator  আইকোনে ক্লিক করুন। কয়েক সেকেন্ড পর predator আইকোন টি সবুজ রঙের হবে। এটার মানে হলন predator এখন আক্টিভ আছে।
প্রতি ৩০ সেকেন্ড পর পর predator চেক করবে যে আপনার পেনড্রাইভ লাগানো আছে কিনা। যদি লাগানো না থাকে তাহলে আপনার পিসি আবার লক হয়ে যাবে।
আপনি যদি Predator pause করতে চান তাহলে pause monitoring এ ক্লিক করুন। কেউ যদি আপনার পিসি লক অবস্থায় চালু করতে যায়, তাহলে আপনি তার লগ ও দেখতে পাবেন। Predator এর লগ সেকশনে।

Saturday, 8 June 2013

facebook এ এ্যাকাউন্ট Block হচ্ছে।

তর্মানে facebook এ অনেকের এ্যাকাউন্ট কোন কারণ ছাড়াই block হচ্ছে।এতে lock খুলতে photo verification করতে হয়।যা ৯৯% ক্ষেত্রেহয়না। যদি আপনার
এ্যাকাউন্টে এ রকম জটিল পরিস্তিতি থেকে রক্ষা করতে চান তাহলে। নিচে ধাপ অনুসারন করুন।
১. Settings & privacy এ যান
২. Security এ যান
3. Secure Browsing টা disable a clickকরেন। 
৪. এখানে বেশ কিছু question আছে। আপনার পছন্দ মত কোন প্রশ্ন বাছাই করে তার উত্তর
ঠিক করেন। এবার password দিয়ে সেভ করেন।ব্যাস আপনার কাজ শেষ।
******** ** তবে আরেকটি উপায়ও কাজটি করা যায়।
১. Settings & privacy এ যান
২. Security এ যান
৩. Trusted Contects এ যান
৪. এখানে আপনার ৩-৫ টি বন্ধুকে add করুন (যারা Trusted friend ) ৫. এবার password দিয়ে সেভ করেন।আপনার account a কোন সমস্যা হলে ঐ বন্ধুদের সাহায্য..!!

Wednesday, 5 June 2013

আপনার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট এর সব কিছু এখন ব্যাকআপ রাখুন নিজের কম্পিউটার অথবা ই-মেইলে

নানা কারণে অনেকের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়া মানে অ্যাকাউন্টের সব তথ্য চিরতরে হারিয়ে যাওয়া! এসব তথ্যের নিরাপত্তার জন্য ফেইসবুক থেকে তথ্যগুলো ডাউনলোড করে ব্যাকআপ হিসেবে রাখতে পারেন। সম্প্রতি ফেইসবুকের চালু করা হয়েছে 'ডাউনলোড ইওর ইনফরমেশন' সুবিধা। এর মাধ্যমে ফেইসবুকের তথ্যগুলো ডাউনলোড করে রাখা যায়।
যে ভাবে ব্যাকআপ করবেন
ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে আপনার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করুন। এবার হোমপেইজের ওপর ডানপাশে
Accounts-এ ক্লিক করুন।ছবি বড় করে দেখতে ছবির উপর ক্লিক করুন
এখান থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন।
নতুন যে পেইজটি খুলবে তার একেবারে নিচে
Download your information নামে একটা ট্যাব পাবেন।

ear more লেখার উপর ক্লিক করুন। এরপর Download বাটনে একটি ক্লিক করুন,

Saturday, 1 June 2013

আপনার ল্যাপটপ দিয়ে নিজেই হয়ে যান WiFi HotSpot এর মালিক


আজকাল আমাদের প্রায় সবার বাসাই ল্যাপটপ ব্যবহার করা হ্য়। আবার কারো কারো বাসাই একের অধিক ল্যাপটপ আছে, আবার এখনকার WiFi সহ Letest মোবাইল ফোন ও থাকে। আমারা যেহেতু সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করি তাই ইচ্ছা করলেই আমরা আমাদের ল্যাপটপের ইন্টারনেট অন্য ল্যাপটপে অথবা WiFi মোবাইল ফোনে ব্যবহার করতে পারি খুব সহজেই।
আপনার ল্যাপটপে যদি Windows 7 দেয়া থাকে তাহলে শুধু একটা Software দিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ল্যাপটপকে WiFi HotSpot বানাতে পারবেন। Software টির নাম Connectify । এই Software টি ডাউনলোড করুন 
এই লিংক
 থেকে।
Software টি ডাউনলোড করে Install করুন। এরপর Software টি রান করুন।

আপনার ল্যাপটপ দিয়ে নিজেই হয়ে যান WiFi HotSpot এর মালিক
  • এবার আপনি যে নামে WiFi HotSpot বানাতে চান, WiFi Name এ সেই নাম দিন।
  • এরপর Password এ আপনার Password দিন যেটা আপনার WiFi HotSpot ব্যবহারকারীরা লগিন করার জন্য ব্যবহার করবে।
  • এবার আপনি আপনার ল্যাপটপে যে টাইপের ইন্টারনেট ব্যবহার করেন সেটার উপর ভিত্তি করে Internet অপশন নির্বাচন করতে হবে। আপনি যদি Broadband/Dial Up ব্যবহার করেন তাহলে Local Area Network নির্বাচন করুন।
  • এবার Start HotSpot বাটনটা চাপুন।
  • এবার আপনি আপনার অন্য যে ল্যাপটপে অথবা মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন সেখানে WiFi সার্চ করে আপনার WiFi HotSpot নির্বাচন করে Password দিয়ে লগিন করে প্রবেশ করুন ইন্টারনেট এর দুনিয়াতে।


Thursday, 30 May 2013

কিছু দারুণ তথ্য জেনে রাখুন,,কাজে লাগবে

₹ আপনি যখন মোবাইলে কোন নাম্বার ডায়াল করেন, তখন কানেকশন 

    পাওয়ার আগ পর্যন্ত,মোবাইল তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যাবহার করে। অর্থাৎ 

    এসময় মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ রেডিয়েশন হয়।তাই এসময় মোবাইল  
    কানের কাছে না ধরেই রাখাই ভালো৷


₹ টি.ভি দেখার সময় বাতি বন্ধ করবেননা। বাতি বন্ধ থাকলে টি.ভি হতে 
    নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন সোজা-সোজা চোখে আঘাত করে৷

₹ মনিটরের দিকে টানা আধা ঘন্টার বেশি তাকিয়ে থাকবেননা।
    কিছুক্ষণের জন্য চোখ বন্ধ রেখে চোখকে রেষ্ট দিন

₹ আপনি যত বড় ক্যাডারই  হোন,চলন্ত গাড়ির সাথে কখনো ত্যাড়ামি  করতে  যাবে,ঐ বাণীটা শুনেননি,”চলন্ত গাড়ি এবং নারী হতে সাবধান।” ব্যাস্ত রাস্তার  মাঝখানে গিয়ে  সামনে পিছে ছোট ছুটি করবেননা। হয় সামনে যাবেন,নয়তো থেমে যাবেন।পেছনের দিকে  যাবেননা।

₹ বাসে চলা-চলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো 
    নামার সময় 
    অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই বাম পা প্রথমে দিয়ে নামবেন। বাস যত দ্রুত     
    চলুক শরীরের কন্ট্রোল রাখতে পারবেন

₹ নিয়মিত নামাজ পড়ুন, মনের 
     অশান্তি দূর হবে৷

   [ ভাল লাগ্লে লাইক , কমেন্ট করুন ] পোষ্টটি উপকারী মনে হলে শেয়ার করে বন্ধুদেরও জানিয়ে দিন




Wednesday, 29 May 2013

Cyberlink YouCam 5.0 আপনার ওয়েবক্যাম চালানোর জন্য দারুন ইফেক্টসহ



আপনার ওয়েবক্যাক টা পরিচালনা করার জন্য দারুন একটি সফ্টওয়্যার Cyberlink YouCam । আর এর আপডেট ভার্সনটা নিয়ে এসেছি আমি। চমৎকার এবং আকর্ষনীয় ইফেক্ট সংযোজন করা হয়েছে এটাতে যা আপনি অনলাইনে চ্যাট করার সময় বন্ধুদের সাথে ব্যবহার করতে পারবেন।

> ফেইস ট্রেকিং এর মাধ্যমে চমৎকার সব এভাটর তৈরি করে নিতে পারবেন;
> আপনার ওয়েবক্যামের ভিডিওতে সহজেই 3D Virtual Objects যোগ করতে পারবেন;
> সুন্দর সুন্দর সব এনিমেটেড ইমোশন প্রকাশ করতে পারবেন চ্যাট করার সময়;
> বিভিন্ন ভার্চুয়াল স্থানে নিজেকে স্থাপন করতে পারবেন;
> বিভিন্ন এড অনস ইনষ্টল করে অনেক সাইটে আপনার ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন;
> আরো নানা ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকবেন ইউক্যামের এই ভার্সনটিতে।
তাই দেরী না করে এখুনি ডাউনলোড করে নিন মিডিয়া ফায়ার থেকে
লিংক > > http://www.legalactionbd.com/sihab_soft/CyberLink%20YouCam%205%20PreActivated.exe

সাইজ মাত্র ১৫৫ মেগাবাইট। ডাউনলোডের পর র‌্যার ফাইলটি এক্সট্রাক্ট করে ইনষ্টল করে উপভোগ করুন ।
ধন্যবাদ সবাইকে; ভাল থাকবেন।

|| স্বাধীনতার বাকি রয়ে যাওয়া কিছু কথা ||


আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভূমিষ্ট হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল সেটির উদয় ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
বিজয়ের মহামুহূর্তটি সূচিত হয়েছিল আজকের এই দিনে। ৯১ হাজার ৫৪৯ পাকিস্তানি সৈন্য প্রকাশ্যে আত্মসমর্পণ করেছিল। ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সর্বাধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিত্ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন।
দেনদরবার নয়, কারও দয়ার দানে নয়, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের পর নত মস্তকে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় মেনে নেয়। পৃথিবীতে নতুন একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
আর এই বিজয়ের মহানায়ক হিসাবে যিনি ইতিহাসে চির অম্লান ও ভাস্বর হয়ে আছেন তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আনন্দ অনেকভাবেই আসতে পারে জীবনে। কিন্তু মাতৃভূমির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির জন্য প্রাণ উত্সর্গ করা যুদ্ধজয়ের আনন্দের কোনো তুলনা হয়! ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই সবুজ দেশে ৪১ বছর আগে আজকের এই দিনে উদিত হয়েছিল বিজয়ের লাল সূর্য। মুক্তিপাগল বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো। যে সূর্য কিরণে লেগে ছিল রক্ত দিয়ে অর্জিত বিজয়ের রং।

সেই রক্তের রং সবুজ বাংলায় মিশে তৈরি করেছিল লাল সবুজ পতাকা। সেদিনের সেই সূর্যের আলোয় ছিল নতুন দিনের স্বপ্ন, যে স্বপ্ন অর্জনে অকাতরে প্রাণ দিয়েছিল এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ। নয় মাসের জঠর-যন্ত্রণা শেষে এদিন জন্ম নেয় একটি নতুন দেশ, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এই বিজয় ছিনিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় মাস পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তাক্ত যুদ্ধ করেছে এ দেশের দামাল ছেলেরা। এ যুদ্ধ ছিলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ, পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ। মাতৃভুমির কপালে বিজয়ের লাল টিপ পড়াতে লাখো শহীদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, হাজারো মা বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি লাখ লাখ বীর শহীদের যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য এনে দিয়েছে স্বাধীনতা।
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে যে স্বাধীনতা, আমরা পেয়েছি যে বিজয়… সেই বিজয় অর্জনের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো এদেশেরই কিছু মানুষরূপী নরপশু। বিজয়ের ৪১ বছর পরও সেই নরপশুদের বিচার হয়নি। লাখো শহীদের রক্তে আর মা বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে কেনা আমাদের মাতৃভুমি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীরা আজও বসবাস করে।

এ লজ্জা আমাদের, এ অপমান আমাদের মায়ের মতো এই বাংলাদেশের।আসুন আজ আমরা শপথ নেই, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে কেনা লাল-সবুজের বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধীর জায়গা হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
Pages (18)Previous 12345678 Next

Subscribe Us

back-to-top

Most Popular